11/11/2023

৮-৯ মাসের বাচ্চার জন্য পুষ্টিকর কিছু রেসিপি

 


 #1. ডিমের কুসুম দিয়ে ভাতের পেস্ট (৮ মাস):

  • নিজেরা যে ভাত খান সেই ভাতই একটু বেশি নরম করে বানান। ভাতের মাড়টা পুরো ফেলে দেবেন না। একটু সেমি সলিড দেখতে হবে এরকম ভাতের মাড় ও ভাত একটা পাত্রে তুলে নিন। (Bacchader Pustikor Khabar) বাড়িতে বানানো খাঁটি ঘি বা মাখন এবং সামান্য রক সল্ট দিন ওতে।
  • এবার একটা সেদ্ধ ডিমের কুসুম হাতে নিয়ে ভেঙে ওই ভাতের সাথে চটকে মেখে দিন। মাখাটা হবে একদম পেস্টের মতো। ডিমের কুসুম যেন খুব ভালো করে ভাতের সাথে মিলে যায়। চটকানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন বেবি ফুড ম্যাসার। চামচে করে বাচ্চাকে খাওয়ান।

প্রথমদিনেই ১ টা গোটা কুসুম না দিলেই ভালো হবে। অর্ধেকটা দিয়ে দেখুন বাচ্চার কেমন লাগছে বা ওর শরীরে কোনও অস্বস্তি বা এলারজি হচ্ছে কিনা? বাচ্চার যদি খাবার থেকে এলারজি হওয়ার প্রবণতা থাকে, তা হলে ডিম শুরু করার আগে একবার ওর ডাক্তারবাবুর অনুমতি নিয়ে নেবেন (Diet Chart For 8-9 Months Baby‎)। বাচ্চা যদি ডিমের স্বাদ চুটিয়ে উপভোগ করে এবং ওর শরীরে কোনও অস্বস্তি না হয়, তা হলে বাচ্চাকে ডিম দিতে পারেন নিয়মিত।

 

#2. কুসুম দিয়ে সবজি মাখা (৮ মাস):
এটা আর কিছুই নয়, সবজি ও ডিমের কুসুমের একটা পেস্ট।

  • বাচ্চাকে আপনি যা যা সবজি খাওয়াতে শুরু করেছেন তার দু-তিন রকম নিয়ে কুচিয়ে কেটে নিন।
  • প্রেসার কুকারে এক চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে সবজিগুলো নাড়াচাড়া করে অল্প নুন এবং পরিমাণ মতো জল দিয়ে রান্না হতে দিন। ২টি সিটি হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ভাপ খুলে গেলে ওতে একটা সেদ্ধ ডিমের কুসুম চটকে বাচ্চাকে খাওয়ান।

 

দুপুরের ভারী খাবার খাওয়ার আগে ফল রাখতে ভুলবেন না যেন! ফলের পিউরি হোক বা ছোট টুকরোয় কেটে হাতে ধরিয়ে দিন; নিয়মিত একটা ফল কিন্তু দেওয়া উচিত বাচ্চাকে


এছাড়াও, ৬ মাসের বাচ্চার খাবার-দাবার নিয়ে যে প্রতিবেদনটি বানিয়েছিলাম, তাতে কিন্তু আরও ফলের পিউরির রেসিপি পাবেন। পাবেন কিছু নরম খাবারের রেসিপিও যা হয়তো মাঝেসাঝে কাজে লেগে যায়।

 

#3. ডিম-ওটমিল খিচুড়ি (৮ মাস):

উপকরণ-

  • ওটস
  • বিনস, গাজর, মটরশুঁটি, আলু, কুমড়ো ২/৩ টুকরো, খোসা ছাড়ানো টম্যাটো কুচি অল্প (সবজি আপনার ইচ্ছেমতো এবং বাচ্চার স্বাদমতো অবশ্যই এদিক ওদিক করতে পারেন)
  • অলিভ অয়েল
  • হলুদ গুঁড়ো অল্প
  • জিরে গুঁড়ো অল্প
  • নুন সামান্য
  • একটা সেদ্ধ ডিমের কুসুম

 

পদ্ধতি-

  • সবজি ধুয়ে কুচিয়ে নিন।
  • প্যানে ১ টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো দিয়ে সবজিগুলো আধ-সেদ্ধ করে নিন।
  • ওটস, আধ-সেদ্ধ সবজি, নুন সবকিছু ভালো করে নাড়াচাড়া করে প্রেসার কুকারে বসিয়ে দিন।
  • ২টি সিটি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  • কুকারের ভাপ খুলে গেলে ওটস আর সবজির থকথকে মিশ্রণটায় ডিমের কুসুম ভেঙে ভালো করে চটকে মেখে দিন।
  • বাড়িতে তৈরি ঘি মিলিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান ডিম-ওটমিল খিচুড়ি।

 

ওটস দিয়ে কিন্তু শুধু এই খিচুড়িই হয় না। ৮ মাসের বাচ্চার খাওয়ার উপযোগী দারুণ পুষ্টিকর কিছু খাবার বানাতে পারেন এই ওটস দিয়েই।

 

#4. ডালের জলে কাতলা মাছ সেদ্ধ (৯ মাস হলে)

উপকরন -

  • মুসুরির ডাল
  • এক চিমটে রক সল্ট
  • এক চিমটে চিনি
  • ঘরে বানানো ঘি (না থাকলে মাখন)
  • কাতলা মাছের ছোট টুকরো- এক পিস
     কিভাবে বানাবেন -

  • মুসুরির ডাল ভালো করে ধুয়ে রক সল্ট, চিনি দিয়ে পরিমাণমতো জলে সেদ্ধ করে নিন।
  • ডালটা সেদ্ধ হয়ে গেলে ডালের জল আলাদা করে রাখুন।
  • এবার একটা পাত্রে বাড়িতে তৈরি ঘি বা মাখন দিয়ে কাতলা মাছের টুকরোটা ঢাকা দিয়ে দিয়ে ভেজে নিন বা শ্যালো ফ্রাই করে নিন।
  • মাছ ভাজা হয়ে গেলে কাঁটা ছাড়িয়ে মাছ আলাদা করে নিন।
  • এবার ডালের জলে ওই কাঁটা ছাড়ানো কাতলা মাছটা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন।
  • ভালো করে চটকে একটা মিশ্রণের মতো বানিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান।


9/10/2023

চিকেন অ্যান্ড ভেজিটেবল বিরিয়ানি


 

মুরগি ১ টা ছোট পিস করে কাটা

-হাফ কাপ দই
-পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
-আদা বাটা ২ টেবিল চামুচ
-রসুন বাটা ১ চা চামচ
-পেঁয়াজ বাটা ১ চা চামচ
-এলাচি ৩ -৪ টা
-জয়ফল বাটা হাফ চা চামচ
-দারচিনি ২ -৩ টা
-লবঙ্গ কয়েকটা
-২ -৩ টা তেজপাতা
-তেল ৪ টেবিল চামচ
-লবণ স্বাদমত

মুরগির সাথে উপরের সবকিছু মেখে মেরিনেট করে রাখুন ১ ঘণ্টা। তারপর একদম অল্প পানি দিয়ে এটাকে রান্না করুন ২৫ মিনিট। হালকা ঝোল থাকবে, তেল উপরে উঠে আসলেই বুঝবেন যে তৈরি।

বিরিয়ানির জন্যঃ

-কালোজিরা পোলাও চাল / বাসমতি চাল ৩ কাপ
-১ কাপ সিদ্ধ সবজি ( গাজর,বরবটি,আলু,মটরশুঁটি )
-হাফ কাপ তেল
-লবণ স্বাদমত
-কাঁচা মরিচ ৯-১০ টা
-বেরেস্তা- ১/২ কাপ

– বড় একটা হাড়িতে তেল দিয়ে তাতে চাল আর লবণ দিয়ে দিন।
-চালটা একটু ভেজে নিয়ে ৫ কাপ ফুটন্ত গরম পানি আর সাথে ১ কাপ সিদ্ধ সবজি ( গাজর,বরবটি, আলু, মটরশুঁটি)রান্না করা মুরগির পিসগুলো দিয়ে নেড়ে দিন। বেরেস্তা দিয়ে দিন।

-এবার চুলার আঁচটা বাড়িয়ে দিন। চালটা যখন ফুলে উঠবে আর পানি শুকাতে থাকবে তখন আঁচ একদম কমিয়ে উপরে কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢাকনা আটকে দমে দিয়ে দিন ২০ মিনিট-এর জন্য। সরাসরি চুলায় দেবেন না, নিচে একটি তাওয়া দিয়ে দিন। তাওয়া না থাকলে একটা হাড়িতে গরম পানি দিয়ে তার উপর বিরিয়ানির হাঁড়ি বসিয়ে দিন।

-ঢাকনা ভালোভাবে লাগিয়ে দেবেন। খেয়াল রাখবেন ভাপ যেন বের না হয়। আর বেশি নাড়াচাড়া করবেন না তাহলে চাল ভেঙে যাবে।

-নামিয়ে গরম গরম সালাদের সাথে পরিবেশন করুন।

9/07/2023

মাংস তুলতুলে নরম করবেন যেভাবে




 অনেক সময় হুট করে মেহমান আসার খবর পেলে মাংস রান্না নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। মাংস সেদ্ধ হতে কতক্ষণ লাগবে, কতক্ষণে অতিথি বা বাড়ির লোকের পাতে মাংস পড়বে তা নিয়ে রাঁধুনির চিন্তার শেষ থাকে না।

রেজালা হোক কিংবা রোগানজোশ, ভুনা হোক কিংবা হালকা ঝোল- অনেক সময়ে মশলাপাতি একদম ঠিকঠাক হলেও মাংস শক্ত থেকে যায় বলে পুরো রান্নাটাই মাটি হয়ে যায়। তবে কয়েকটি সহজ উপায় জানলেই অল্প সময়ে নরম তুলতুলে হবে মাংস।

কী সেই উপায়, চলুন জেনে নেই

১। বাজার থেকে খাসির মাংস কেনার সময়ে খেয়াল করুন যেন পায়ের দিক থেকে মাংস কেটে দেয়া হয়। এই মাংসই সবচেয়ে সুস্বাদু হয় এবং সহজে সেদ্ধ হয়ে যায়। খুব বেশি ওজনের খাসি হলে মাংস না কেনাই ভালো। গরুর পাঁজরের মাংস সেদ্ধ হয় তাড়াতাড়ি। আর গরুর সামনের পায়ের মাংস নেয়ার চেষ্টা করবেন।

 ২। যদি সম্ভব অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা মাংস মশলা মাখিয়ে রাখুন। যদি রাখতে পারেন তবে মাংস দ্রুত সেদ্ধ হবে।

৩। কী দিয়ে ম্যারিনেট করছেন, তার উপরও নির্ভর করে মাংস কতটা নরম হচ্ছে। দই দিয়ে ম্যারিনেট করতে পারেন। সঙ্গে যদি কাঁচা পেঁপে বাটা, লবণ, গোলমরিচ দিয়ে মাখিয়ে রাখতে পারেন, তা হলে আরও ভাল হয়। অনেকে অল্প করে ভিনেগারও দেন। যত অ্যাসিডিক খাবার দিয়ে ম্যারিনেট করবেন, মাংস তত নরম হবে। আর ম্যারিনেট যত ভালো হবে, তত তাড়াতাড়ি মাংসের পেশি ভেঙে নরম হবে। খেতেও ভালো হবে।

৪। ঘণ্টা তিনেক ধরে অল্প আঁচে মাংস কষিয়ে রান্না করলে সবচেয়ে নরম হয়। তবে এই পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ। তার উপর যার বাসায় সিলিন্ডার গ্যাস বা প্রিপেইড মিটার তাদের জন্য বিষয়টা একটু চাপের। চাইলে আপনি ঘণ্টাখানেক কষিয়ে নিয়ে প্রেশার কুকারে দিয়ে সিটি দিয়ে নিন। খাসির মাংসের ক্ষেত্রে ৪-৫টা সিটি। গরুর মাংসের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ছয়টা। আর প্রথম সিটিটা পড়বে বেশি আঁচে। তারপর আঁচ কমিয়ে বাকিটা রান্না করুন। যদি একটু বয়সী গরুর মাংস হয় তবে ৬-৭টা সিটি দিয়ে চুলো বন্ধ করে দমে রেখে দিন।

৫। কখনও কখনও মশলাপাতি দিয়ে মাংস ম্যারিনেট করা হয়ে ওঠে না। সে ক্ষেত্রে অন্তত এক ঘণ্টা মাংসে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন। দু’ঘণ্টাও রাখতে পারেন। রান্নার আগে বাড়তি লবণ ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি মানলেও মাংস ভাল সেদ্ধ হবে।